Breaking News
recent

ন্যানোপ্রযুক্তি ন্যানোটেকনলজি বা সংক্ষেপে ন্যানোটেক কি? || What is nanotechnology nyanoteka nyanotekanalaji or short?




কেন ন্যানোপ্রযুক্তি নিয়ে সবার এত আগ্রহ?
তার একটা সহজ উত্তর হল, সামনের দিন হবে ন্যানোপ্রযুক্তির যুগ। আপনার হৃদরোগ হয়েছে? ন্যানো রোবোট আপনার শরীরের ভিতরে ঢুকে সেই সব মেরামত করে দেবে। আপনার হাতের ঘড়িটি হয়ে যাবে আপনার কম্পিউটার আপনার মোবাইল, সব কিছুই। তা সম্ভব হবে ন্যানোপ্রযুক্তির বদৌলতে।

ইতিহাস
১৯৮৯ সনের নভেম্বরের ৯ তারিখ খুব সম্ভবত ন্যানোটেকনলজির জন্য একটা অন্যতম স্মরণীয় দিন হিসবে বিবেচিত হবে। এই দিনে ক্যালিফোর্নিয়ার IBM এর Almaden Research Center এ Don Eigler এবং Erhard Schweizer ৩৫ টি Xenon অণু দিয়ে IBM এর লগোটি তৈরি করেছিলেন। সেইদিনই প্রথম অণুকে ইচ্ছেমত সাজিয়ে পছন্দমত কিছু তৈরি করা সম্ভব হয় মানুষের পক্ষে। তাই দিনটি হয়তো আজ হতে অনেক বছর পরে ন্যানোটেকনলজির ক্ষেত্রে প্রথম মাইল ফলক হিসাবে পরিগণিত হবে। এইদিনই প্রথম মানুষ প্রকৃতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি অণুর কাঠামোকে ভাঙতে সক্ষম হয়েছিল। অণুর গঠনকে ইচ্ছেমত তৈরি করে অনেক কিছু করা সম্ভব। এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার মানুষের সামনে উন্মোচিত হল। ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলা যাক। শুধু মাত্র অণুর কাঠামোগত পার্থক্য হবার কারণেই কয়লা এত সস্তা আর হীরক এত দামী। দুটি জিনিসের মূল উপাদান হল কার্বণ। শুধু মাত্র অণুর গঠনের পার্থক্যের কারণে হীরক পৃথিবীর সবথেকে শক্ত দ্রব্য আর কয়লা কিংবা পেন্সিলের শীষ নরম।

কিন্তু ন্যানোপ্রযুক্তির কল্যাণে যদি আমরা ইচ্ছেমত এই অণুকে সাজাতে পারি, তাহলে চিন্তা করে দেখুন ব্যাপারটা। আমরা ইচ্ছেমত যা ইচ্ছে তাই তৈরি করতে পারব। এছাড়া ১৯৯৯ সনে Cornell বিশ্ববিদ্যালয়ের Wilson Ho এবং তার ছাত্র Hyojune Lee অণুকে জোড়া লাগানোর প্রক্রিয়া প্রদর্শন করেন। এতদিন পর্যন্ত অণু-পরমানুর সংযোগ শুধু মাত্র রাসয়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমেই সংগঠিত হত। কিন্তু ন্যানোটেকনলজির মাধ্যমে অণু-পরমানুক ভেঙে কিংবা জোড়া লাগিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভবনার দ্বার খুলে দিল।

ন্যানোপ্রযুক্তি কী?
ন্যানো একটি মাপার একক। ম্যাট্রিক একক এর শুরুটা হয়েছিল ১৭৯০ সনে ফ্রান্সে। ফ্রান্স জাতীয় পরিষদ এককগুলিকে সাধারণ করবার জন্য কমিটি গঠন করে এবং তারাই প্রথম ডেসিমাল কিংবা দশ একক এর ম্যাট্রিক পদ্ধতির প্রস্তাব করেন। এবং দৈর্ঘ্যের একক এক মিটার এর সূচনা করেন। তারা পৃথিবীর পরিধির ৪০,০০০,০০০ ভাগের এক ভাগকে এক মিটার বলেন। মিটার শব্দটি গ্রিক শব্দ metron থেকে এসেছে যার অর্থ হল, পরিমাপ। এছাড়া মিটার এর ১০০ ভাগের এক ভাগকে সেন্টিমিটার বলা হয়। ১৭৯৩ সনে ফ্রান্সে আইন করে তা প্রচলন করা হয়। ১৯৬০ সনে এই মিটার এর সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়। ক্রিপটন ৮৬ এর কমলারঙের রেডিয়েশন এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ১,৬৫০,৭৬৩.৭৩ ভাগের এক ভাগকে মিটার বলা হয়। ১৯৮৩ সনে মিটার এর সংজ্ঞা পুনরায় পরিবর্তিত করা হয়, বর্তমান সংজ্ঞা অণুযায়ী, বায়ুশুন্যে আলোর গতির ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ ভাগের এক ভাগকে মিটার বলা হয়। এই মিটার এর ১,০০০,০০০,০০০ (১০০ কোটি) ভাগের এক ভাগকে ন্যানোমিটার বলা হয়। ন্যানো শব্দটি গ্রিক nanos শব্দ থেকে এসেছে যার অভিধানিক অর্থ হল dwarft কিন্তু এটি মাপের একক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এই ন্যানোমিটার স্কেলে যে সমস্ত টেকনোলজি গুলি সর্ম্পকিত সেগুলিকেই বলে ন্যানোপ্রযুক্তি।

মিটার এককটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত। বাড়িঘর আসবাবপত্র সবই আমরা মাপি এই মিটার এককে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত মিলিমটার স্কেলে যন্ত্রপাতির সূক্ষতা মাপা হত। মিলিমিটার এর ছোট কোন কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনার অবকাশ ছিলনা। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এক নতুন যুগের সূচনা হল। সেমিকণ্ডাকটর তার পথযাত্রা শুরু করল। আর এর শুরুটা হল, ট্রানজিস্টর আবিষ্কার দিয়ে। তখন মাইক্রোমিটার একক দিয়ে আমাদের চিন্তভাবনা শুরু হল। বলা যায় যাত্রা শুরু হল, মাইক্রোটেকনোলজির।
এর পরে টেকনোলজি এগুতে লাগলো প্রচন্ড গতিতে। নানা জিনিসপত্র, যার মধ্যে টেলিভিশন, রেডিও, ফ্রিজ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর তা কিভাবে আরো ছোট করা যায় তা নিয়েই প্রচন্ত যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। কোন কম্পানি কত ছোট আকারের এই সমস্ত ভোগ্য জিনিস আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারবে, তার প্রতিযোগীতা শুরু হল। আর এই সমস্ত ব্যাপারটা সম্ভব হল, সেমিকণ্ডাকটর সংক্রান্ত প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রথম দিকের রেডিও কিংবা টিভির আকার দেখলে আমাদের এখন হাসি পাবে। এত বড় বড় জিনিস মানুষ ব্যাবহার করত কিভাবে? সেই প্রশ্নটি হয়তো এসে দাড়াবে। কিন্তু এখন বাজারে দেয়ালে ঝুলাবার জন্য ক্যালেন্ডারের মত পাতলা টিভি এসেছে। সামনে হয়তো আরো ছোট আসবে।
১৯৮০ সনে IBM এর গবেষকরা প্রথম আবিষ্কার করেন STM(Scanning Tunneling Microscope) এই যন্ত্রটি দিয়ে অণুর গঠন পর্য়ন্ত দেখা সম্ভব। এই যন্ত্রটির আবিষ্কারই ন্যানোপ্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। কিভাবে কাজ করে এই STM। এই যন্ত্রে খুব সূক্ষ পিনের মত সুচাল টিপ আছে এবং তা যখন কোন পরিবাহী বস্তুর খুব কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তা থেকে টানেলিং নামে খুব অল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। এবং এই বিদ্যুৎ এর পরিমাণ দিয়েই সেই বস্তুটির বাহিরের স্তরের অণুর চিত্র তৈরি করা হয়। তবে এই STM এর ক্ষেত্রে যা দেখতে চাইবো তাকে অবশ্যই বিদ্যুৎ পরিবাহী হতে হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ অপরিবাহীর অণুর গঠন কিভাবে দেখা যাবে? না মানুষ বসে থাকেনি। অসম্ভবকে সম্ভব করেই মানুষ যেভাবে এতদূর এসেছে, তেমনি ভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা গেল AFM দিয়ে। STM এর ক্ষেত্রে টানেলিং বিদ্যুৎ দিয়ে কাজ করা হয় এবং AFM দিয়ে সুক্ষ্ম পিন দিয়ে অণুর গঠন দেখা সম্ভব।

Why all the interest in nanotechnology?
One simple answer is that the day before the era of nanotechnology. You have heart disease? Nano robot will repair the inside of your body. Your computer and your mobile you can watch in hand, everything. It will be possible thanks to nanotechnology.

History
On 9 November 1989 nyanotekanalajira very likely to be considered as a one of the most memorable days. At IBM's Almaden Research Center in California these days Don Eigler and Erhard Schweizer 35 T Xenon molecules made with IBM's lagoti. Be the first molecule in order, some day, the choice can be made on behalf of the people. Maybe today is the day many years later, would be regarded as a milestone in the field of nyanotekanalajira. Eidinai the man was able to break the structures of molecules in nature are the most important foundation. The formation of molecules that can be made freely. Was unveiled in front of a huge potential. Well, let's talk a little explaining. Just the result of differences in the molecular structure of coal is so cheap and so expensive diamond. Two things are key elements of the carbon. Because of differences in the formation of the world's rough diamond just a molecule of coal and soft ears or pencils.

But if we join the nanotechnology for the benefit of this sort of molecule, then think about. We can create freely whatsoever. Apart from Cornell University in 1999 Hyojune Lee Wilson Ho and his students demonstrated the molecule to attach the process. Atoms and molecules so far have been organized in connection with the reaction just chemicals. But the micro-paramanuka nyanotekanalajira altogether are broken or opened the door to a lot of things possible to be.

What is nanotechnology?
Nano is a unit of measure. Metrics of unit was started in France in 1790. France ekakagulike General to the National Assembly committee and the first ten units of the decimal metric system was proposed. This was the start of one meter length of the unit. They are part of the scope of the pieces of one meter was 40,000,000. The term comes from the Greek word metron, which means the meter, measure. 100 percent of the meters is one centimeter pieces. In France, legislation was introduced in 1793, it. In 1960 to change the definition of the meter. Krypton 86 kamalaranera 1,650,763.73 wavelengths of radiation that are part of the meter pieces. The definition of the meter was changed again in 1983, Given the current definition, bayusunye percent of the speed of light 299792458 m is one of the pieces. The meter's 1,000,000,000 (100 million) by one of the pieces that are nanometers. The term nano comes from the Greek word nanos, which means dwarft dictionary, but it is being used as measurement units. The funds relating to the nanometer scale, the technology that nanotechnology segulikei.

Meter unit involved in our daily lives. We did not, the meter unit houses all the furniture. Milimatara until World War II was measured on a scale of sophistication. Thinking there was something short of millimeters. But after the Second World War, a new era of science and technology. Semikandakatara he started hiking. And that's just the beginning, with the discovery of the transistor. Our thinking is to start with the single micrometer. This is the beginning of a journey, microtechnology.
The technology began to move at a furious pace. Various accessories, which includes television, radio, refrigerator, etc, etc. And it is small, it is more about how the battle began pracanta. How much a company will be able to reach out to our small size, these consumer items, the competition is. And the whole thing is possible, thanks to the technology of semikandakatara. Let us look at the size of the radio or TV on to be able to smile. How did men use such large things? Maybe the fall of the question. But for now, the market jhulabara wall calendar is like a thin TVs. Maybe more will come in front of the small.
In 1980, IBM's researchers discovered the first STM (Scanning Tunneling Microscope) with this device can be seen until the formation of molecules. This machine is able to materialize nyanoprayuktike discovery. How this works STM. This device has a very fine tip sucala like pins and when it was taken to a conductive object is very, very small amounts of electricity when it is transported to the tunneling. And the amount of electricity through the outer layer of the object is made up of molecules. However, he would like to see in the case of the STM must be electrically conductive. But it can be seen how the structure of the molecule insulator of electricity? Negotiate people. The man has done the impossible so far as to make it possible with the AFM. Tunneling is done with the power of STM and AFM can be seen in the fine structure of molecules with the pin.

No comments:

Powered by Blogger.